বহিষ্কৃত হয়ে অভিমানের কথা শোনালেন তৃণমূল নেতা গোপাল। —নিজস্ব চিত্র।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। শুক্রবার কোচবিহারের নাজিরহাট এক গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। যদিও বহিষ্কৃত নেতার দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
শুক্রবার পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল মোদককে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। দিনহাটায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল গোপালের বিরুদ্ধে। জানানো হয়, তাঁকে বহু বার সতর্ক করার পরেও তিনি নিজেকে শুধরে নেননি। তাই দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উদয়ন এ নিয়ে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা চাওয়া এবং যে কোনও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে থাকলে এবং সেই অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকলে সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।’’
যদিও বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত সদস্য গোপালের দাবি, তিনি নির্দোষ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার নিজস্ব বহু সম্পত্তি রয়েছে। নিজস্ব শপিংমল আছে। সেখান থেকে যথেষ্ট আয় হয়। মানুষের কাছ থেকে ২-৫ হাজার টাকা নেওয়ার মতো মানসিকতা আমার নেই।’’
অভিমানের সুরে গোপাল জানান, দলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি ছিলেন। তিনিই জনা কয়েক সমর্থককে নিয়ে নাজিরহাটে তৃণমূলকে ‘প্রতিষ্ঠা’ করেছিলেন। ১৫ বছর ধরে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তা হলে কেন এই সিদ্ধান্ত নিল দল? গোপালের অভিযোগ, ‘‘কিছু মানুষ আমার নামে নেতাদের ভুল বুঝিয়েছে। দলের উচিত ছিল আমাকে শোকজ় করে বাস্তব বিষয়টি জানার চেষ্টা করা।’’ তবে দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে বলে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। গোপাল বলেন, ‘‘জনসমর্থন থাকলে আগামিদিনে ঠিক নিজের জায়গা ফিরে পাব।’’