রাশি রাশি স্ফটিক দিয়ে তৈরি নেকলেস দিয়েই বানিয়ে ফেলেছেন ঊর্ধ্বাঙ্গের আবরণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সন্ধ্যার অন্ধকারে বান্দ্রার রাস্তায় ঝলমল করে উঠলেন উরফি জাভেদ। আলো ঠিকরে পড়ছে তাঁর বুক থেকে। কী রয়েছে সেখানে? মহাজাগতিক কিছু? না, কাছে আসতে দেখা গেল অদ্ভুত এক নেকলেস। রাশি রাশি স্ফটিক দিয়ে তৈরি সেটি। গলায় কালো স্ট্র্যাপ থেকে ঝুলছে পাথরের জাল, উরফির বুকের উপর। তাতে স্তনদ্বয় ঢাকা পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। নেকলেসের ফাঁকে তাঁর শরীরের প্রতিটি রেখা স্পষ্ট। কিন্তু তাতে কী! উরফির আছে মগজাস্ত্র। ত্বকের রঙের স্টিকার সেঁটে নিয়েছেন স্তনবৃন্তে। তাতেই লজ্জা নিবারণ।
নীচে পরেছেন কালো স্কার্ট, যার দু’দিকে চেরা। বৃহস্পতিবার সেই বেশেই তাঁকে দেখা গেল এক রেস্তরাঁয়। দেখা মাত্র ছেঁকে ধরলেন আলোকচিত্রীরা। ক্যামেরার সামনে উরফির সাজও অন্যান্য দিনের তুলনায় উগ্র লাগছিল। তবে হাসিখুশি ছিলেন মডেল-তারকা। অনুরাগীদের সঙ্গে পোজ় দিতে দিতে চলল বাক্যালাপ।
এক জন বললেন, “অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে...” উরফি বললেন, “ছিলাম না তো এখানে। দুবাই গিয়েছিলাম, আমার খবর আপনারাই ভাল জানবেন।” কেমন কাটল দুবাইয়ের দু’সপ্তাহ? জিজ্ঞাসা করতেই উরফি মুখ শুকিয়ে বললেন, “অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলাম। আর কী বলব...খুব খারাপ ব্যাপার!” তাতে এক অনুরাগী জিজ্ঞাসা করলেন, “এখন ভাল তো?” উরফির জবাব, “দেশে ফিরলে সব ভাল হয়ে যায়।”
এ দিকে, দেশবাসী যে তাঁকে বাঁকা চোখেই দেখেন, এ কথাও জানেন উরফি। তবে তিনি বরাবরই নিজের খেয়ালে চলেন। বেপরোয়া মনোভাব তাঁর। দুবাইতে উরফির শুটিংয়ের সময় পুলিশ এসেছিল। সে খবর রটায় খুশি হয়েছিলেন নিন্দকদের একাংশ। মন্তব্য শোনা গিয়েছিল, “এ দেশে উলঙ্গ হয়ে ঘোরা যায়, বাইরের দেশ উরফির বেয়াদপি মানবে কেন?” সেই ঘটনার পর উরফি অবশ্য জানান, তাঁর পোশাক নিয়ে নয়, সমস্যা হয়েছিল ব্যস্ত রাস্তায় শুটিংয়ে। তার পর এক মজাদার পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী। সেখানে দেখা গিয়েছিল কারাগারের আবহ। গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে উরফি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “দেশবাসী আমায় যে ভাবে দেখতে চায়।”