তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। —নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার পর এ বার শাসকদলের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে সরকারি জমিদখলের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল। এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপি-র তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খগেশ্বর।
রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বরের বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে স্থায়ী জনসংযোগ কার্যালয় গড়ার অভিযোগ করেছে জেলা বিজেপি। তাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি জেলা রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, ব্লক যুব তৃণমূলের সহযোগিতায় রাজগঞ্জ বাজারে পাকা রাস্তার পাশে যেখানে বিধায়কের স্থায়ী জনসংযোগ কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছে, সেটি আসলে জেলা পরিষদের জমি। ওই কার্যালয়ে দলীয় প্রতীকযুক্ত ফলকে বিধায়কের নাম ও ছবির পাশে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রয়েছে।
বানারহাটের চামুর্চি মোড়ে ‘বার্লা কমপ্লেক্স’ নামে যে বাণিজ্যিক ভবনটি গড়ে উঠেছে, সেটি সরকারি খাস জমির উপরে তৈরি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরব হয়েছে তৃণমূল। এক সময়ে ওই জমিটি পূর্ত দফতরের হাতে ছিল। তবে সার্ক রোড তৈরির জন্য বছরখানেক আগে পূর্ত দফতর জমিটি হস্তান্তর করেছে। সেই সুবাদে এখনও জমিটি সরকারি দখলেই রয়েছে। ওই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে পাল্টা জমিদখলের অভিযোগ করেছে বিজেপি।
খগেশ্বর ওই কার্যালয়টি উদ্বোধন করার পর থেকেই ওই জমি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি-র রাজগঞ্জ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস দে বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। অথচ রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সরকারি জমিতে একের পর এক দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি ফাটাপুকুরে ফোর লেন জমির ওপরে এবং বেলাকোবায় রেলগেটের পাশে দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছেন। এমনকি কিছু দিন আগে রাজগঞ্জে জেলা পরিষদের জমিতেও দলীয় কার্যালয় করেছেন। রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে সরকারি জমি দখল করছে তৃণমূল। কী করে একটি দল ক্ষমতায় থেকে সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় খোলে? অবিলম্বে এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’
যদিও বিজেপি-র অভিযোগ মানতে নারাজ খগেশ্বর। তিনি বলেন, ‘‘এটা জেলা পরিষদের বা পূর্ত দফতরের জমি নয়। এটা বেসরকারি জমি। যদি জেলা পরিষদ মনে করে যে এটা তাদের জায়গা, তবে আমরা দলীয় কার্যালয়ে ভেঙে দেব।’’