সোমবার ধূপগুড়ি পুরসভায় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। —নিজস্ব চিত্র।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত্রিকালীন কার্ফুর সময় রাস্তায় বেরোলেই কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ। এমনকি, মাস্কবিহীন খদ্দেরকে জিনিসপত্রও বিক্রি করতে পারবেন না দোকানিরা। করোনা সংক্রমণ রুখতে ধূপগুড়িবাসীদের এমন কড়া বার্তা দিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর নির্দেশে ধূপগুড়ি পুরসভায় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণ, ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ, ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা, ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস দত্ত-সহ বহু ব্যবসায়ী ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
প্রশাসনের নির্দেশ, প্রতি দিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কার্ফুর সময় জরুরি কাজ ছাড়া কেউ রাস্তায় বেরোলেই কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ। মাস্ক ছাড়া খদ্দেরকে পণ্য বিক্রি করা যাবে না। সেই সঙ্গে, মাস্ক না পরে বাজারে এলে বা রাত্রিকালীন কার্ফুর সময় আড্ডা দিতে দেখা গেলে শহরের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা হবে। টোটোচালকদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করবে পুলিশ। রাজেশ বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, সে নিয়েই বৈঠক হয়েছে। যে সব নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা অমান্য করলে ভবিষ্যতে পুলিশকে নিয়ে অভিযানে নামবে পুরসভা।’’
পুরসভার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। ধূপগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে পুরসভার মতো আমরাও চিন্তিত। করোনাকে রুখতে ব্যবসায়ীরাও সমস্ত নিয়ম বিধি মেনে ব্যবসা করবে।’’