বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকালের দিকে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার ফলে বিমানবন্দরের রানওয়েতে জল জমে যায়। ফলে বিমান চলাচলে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে সেই জল পরিষ্কার করে বিমান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
ফাইল ছবি
রানওয়েতে ফাটল চোখে পড়ার পর মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে চার ঘণ্টার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ওই ফাটলের মেরামত করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। যার ফলে মঙ্গলবারের মতো বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সমস্ত রকম বিমান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকালের দিকে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার ফলে বিমানবন্দরের রানওয়েতে জল জমে যায়। ফলে বিমান চলাচলে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে সেই জল পরিষ্কার করে বিমান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১২টা অবধি বিমানবন্দরে মোট সাতটি বিমান অবতরণ করে। পাশাপাশি পাঁচটি বিমান বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভাল ভাবেই দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও কলকাতার উদ্দেশে রওনাও দেয়। কিন্তু এরপরই বিমানবন্দরের রানওয়েতে বেশ খানিকটা জায়গায় ফাটল দেখা দেয়, যার ফলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু সময়ের জন্য বিমান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হন।
ফাটল সারানোর কর্মীরা জানিয়েছেন, রানওয়ের ফাটলের অংশ মেরামত করতে প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। যার ফলে পুনরায় বিমান বন্দর থেকে বিমান চলাচল করতে অনেকটাই সময় লাগতে পারে। আর সেই কারণেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন মঙ্গলবারের মত বিমান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার।
হঠাৎ-ই বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের বক্তব্য, ‘‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সঠিক ভাবে যাত্রীদের কোনও তথ্যই জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না। এমনকি বিমানবন্দর তথ্যকেন্দ্র থেকেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’’
প্রসঙ্গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখে প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকে বাগডোগরা বিমানবন্দর। সে বারও রানওয়েতে ফাটলের কারণেই স্থগিত থাকে বিমান চলাচল।