চিতাবাঘের খোঁজে বনকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে চা বাগান ও সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘ ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেন বনবিভাগের কর্মী ও আধিকারিকেরা। বেশ কয়েক দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা জুড়ে চিতাবাঘের দেখা মিলছে। বিগত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শিবমন্দির এলাকায় লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘ। রাতভর একাধিক চেষ্টা চালায় বন দফতর। কিন্তু বাগে আনা যায়নি চিতাবাঘটিকে।
অন্য দিকে, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’কলেজের পেছনে চিতাবাঘের দেখা মিলেছে বলে বক্তব্য এলাকাবাসীদের। এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আবাসিক পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্ক।
চিতাবাঘ ধরতে শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হন কার্শিয়াং ডিভিশনের (সমতল) বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে চা বাগান এলাকায় পটকা ফাটিয়ে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন এলিফ্যান্ট স্কোয়াড ও রেঞ্জের কর্মীরা। খাঁচা, জাল-সহ একাধিক সরঞ্জাম নিয়ে সরজমিনে তল্লাশি চালান তাঁরা। খোঁজা হয় চিতাবাগের পায়ের ছাপ। পরিচর্যার অভাবে চা বাগানের একাংশ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সেখানে মানুষের যাতায়াতও কম। কাজেই চিতাবাঘের সেখানে আস্তানা গড়ে তোলা খুবই স্বাভাবিক। তাই পটকা ফাটানোর পাশাপাশি বাঘের পায়ের ছাপ রয়েছে কি না, সেটাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা সম্পর্কে বাগডোগরা বনবিভাগের রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের আবেদন ছিল এলাকায় তল্লাশি চালানোর। তাঁরা জানিয়েছেন, চিতাবাঘ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে দেখা গিয়েছে। সত্যি চিতাবাঘ এখানে রয়েছে কি না, তা নিয়ে খতিয়ে দেখার আবেদন জানান। আজ সেখানেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে এখনও কিছু মেলেনি।’’