এ ভাবেই সে দিন থমকে গিয়েছিল আমেরিকা জুড়ে বিমান পরিষেবা। প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনা নয়, অন্তর্ঘাত! মঙ্গলবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আমেরিকা জুড়ে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার ‘কারণ’ হিসাবে ‘অজ্ঞাত কোনও ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা’কেই চিহ্নিত করল সে দেশের বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ‘ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। কার্যত মেনে নিল, সাইবার হানার কারণে সে দিন থমকে গিয়েছিল কয়েকশো বিমানের যাত্রা।
এফএএ-র তরফে জানানো হয়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যে ব্যবস্থা পাইলটদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বার্তা পাঠায় সেই ফাইলকে কেউ করাপ্ট করে দিয়েছিল। সে কারণেই থমকে যায় কয়েকশো উড়ান। আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভ্রাটের জেরে ৪,৬০০টির বেশি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান সে দিন দেরিতে চলছে। বাতিল করা হয় ৮০০টি বিমান।
বিমান পরিষেবায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই আমেরিকায় সাইবার হানা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিমান বিভ্রাটের পিছনে সাইবার হানা নেই। তবে ইতিমধ্যেই যাত্রী পরিবহণ দফতরকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।