TMC Leader Dulal Sarkar Murder Case

‘স্পর্শকাতর ঘটনা’! দুলাল-খুনে ধৃতদের হয়ে আদালতে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী

শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয় দুলাল-খুনে তিন অভিযুক্ত মহম্মদ সামি আক্তার, আব্দুল গনি এবং টিঙ্কু ঘোষকে। তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলেও ধৃতদের হয়ে শুক্রবার মালদহ জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোন আইনজীবী সওয়াল করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০০
Share:

(বাঁ দিকে) মৃত তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার এবং সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে হামলার ছবি (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের ঘটনায় ধৃত তিন অভিযুক্তের পক্ষে মালদহ জেলা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবীই সওয়াল করলেন না। আইনজীবীদের কথায়, ‘‘ঘটনাটা খুবই স্পর্শকাতর।’’

Advertisement

শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয় দুলাল-খুনে তিন অভিযুক্ত মহম্মদ সামি আক্তার, আব্দুল গনি এবং টিঙ্কু ঘোষকে। তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলেও ধৃতদের হয়ে শুক্রবার মালদহ জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোন আইনজীবী সওয়াল করেননি। এ প্রসঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শুভেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনাটি স্পর্শকাতর। দুলালের স্ত্রী চৈতালি এক জন আইনজীবী। সেই আবেগ থেকেই মালদহ বারের কোনও আইনজীবী অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়াতে রাজি হননি। যদি সরকারি ভাবে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়, তবে তিনি মামলা লড়বেন।’’ এ ভাবে দুলালের খুনে হতবাক শুভেন্দু। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। বাইকে চেপে এসে তিন জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি দুলালের মাথার কাছে লাগে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

দুলালকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবারই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল মালদহ জেলা পুলিশ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন সামি এবং টিঙ্কু। তাঁদের মধ্যে সামি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা। অপর জন টিঙ্কু ঘোষ, ইংরেজবাজারের গাবগাছি অঞ্চলের বাসিন্দা। পরে মালদহ জেলা পুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল গনি নামের এক দুষ্কৃতীকে। জানা যায়, তিনিও বিহারের বাসিন্দা। শুক্রবার এই তিন জনকেই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। এ ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের সংখ্যা নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement