Tomato Juice for Hair

মুখে টম্যাটোর রস মাখাই যায়, কিন্তু ওই উপাদানটি মাথায় মাখলে কী হয় জানেন?

কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, এই সব্জিতে এমন কিছু ভিটামিন, খনিজ রয়েছে যেগুলি মাথার ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া, টম্যাটোয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। এই উপাদানটিও চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৮
Share:

টম্যাটোর রস মাথায় মাখবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ তুলতে টম্যাটোর রস দারুণ কাজের। তবে ফাঁকা মাথায় কচি দূর্বা ঘাসের মতো নতুন চুল গজাতেও যে এই উপাদানটি ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, এই সব্জিতে এমন কিছু ভিটামিন, খনিজ রয়েছে যেগুলি মাথার ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া, টম্যাটোয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। এই উপাদানটিও চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। টম্যাটোর রসে আর কী কী আছে, যা চুলের জন্য ভাল?

Advertisement

১) এই সব্জিতে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপাদানটি কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। এই কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন, যা ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে যা বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।

২) টম্যাটোর লাল রঙের নেপথ্যে রয়েছে লাইকোপেন নামক এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে চুলের ফলিকলের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা সামলে দেওয়া যায়।

Advertisement

৩) মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন এ। এই সব্জিটিতে যা রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও টম্যাটোর ভূমিকা রয়েছে।

৪) চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উপাদান হল বায়োটিন এবং জ়িঙ্ক। শরীরে এই দু’টি উপাদানের ঘাটতি হলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। নিয়মিত টম্যাটো খেলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।

৫) খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতাজনিত অস্বস্তি এড়াতে চাইলে পিএইচের সমতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এই কাজে সাহায্য করতে পারে প্রাকৃতিক কিছু অ্যাসিড। টম্যাটোর মধ্যে সেই উপাদান রয়েছে। তাই নিয়মিত এই সব্জির রস খেলে পিএইচের সমতা বজায় থাকে।

মাথার ত্বকে কী ভাবে এই সব্জিটির রস ব্যবহার করতে হবে?

১) বাজার থেকে আনা টম্যাটোগুলি প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নিন।

২) ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেওয়া টম্যাটো ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট বানিয়ে নিন।

৩) এ বার ছাঁকনির সাহায্যে তা ছেঁকে রস বার করে নিন।

৪) ওই রসে তুলো ভিজিয়ে মাথার যে অংশ একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সেখানে মেখে রাখুন।

৫) কিছু ক্ষণ পর আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করে নিন। এতে রক্ত চলাচল ভাল হবে।

৬) আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই টোটকা করে দেখুন, তফাত নজরে পড়বে।

যাঁদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা টম্যাটোর রসের সঙ্গে অ্যালো ভেরার টাটকা শাঁস বা জেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। চাইলে নারকেল বা অলিভ অয়েলও মেশানো যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement