গত ১৬ জুলাই পুলিশের রাবার বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে আবু সাঈদ। —ফাইল চিত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘শহিদ’ আবু সাঈদের মৃত্যুতারিখ ঘিরে বিভ্রান্তি। বাংলাদেশের নবম এবং দশম শ্রেণির দু’টি পাঠ্যপুস্তকে দুই রকম তারিখ লেখার বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য নতুন প্রকাশিত বইয়ে সাঈদকে নিয়ে একটি অধ্যায় রেখেছে।
ইংরেজি বইটির একটি অধ্যায়ে লেখা হয়েছে সাঈদের মৃত্যুতারিখ ১৭ জুলাই। আবার বাংলা বইয়ের ‘আমাদের নতুন গৌরবগাথা’ শীর্ষক অধ্যায়ে লেখা হয়েছে, ওই ছাত্রনেতার মৃত্যুতারিখ ১৬ জুলাই। দুই তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতেই এনসিটিবি-র চেয়ারম্যান, অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান জানান, তাঁরা বিষয়টি দেখছেন এবং দ্রুত বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা হবে। মীরপুরের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই প্রসঙ্গে বলেন, “পাঠ্যপুস্তক রচয়িতাদের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই বলে মনে হচ্ছে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সাঈদ। গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের রাবার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট বাঁশের লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে পুলিশের উদ্যত বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের বন্দুক থেকে ছুটে আসা পর পর রাবার বুলেটের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই মিনিটখানেকের ভিডিয়ো ক্লিপ ত্বরান্বিত করেছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতন।