নিজস্ব চিত্র
জলপাইগুড়িতে এসে দলীয় কর্মীসভায় ক্রান্তি এলাকায় একটি পৃথক ব্লক গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মতোই গঠিত পৃথক ব্লক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ক্রান্তি। আর ক্রান্তি ব্লক গঠন হওয়ার পর এবার সরকারিভাবে ক্রান্তি পঞ্চয়েত সমিতিও গঠন করা হলো। সোমবার প্রশাসনিক ভাবে ক্রান্তি পঞ্চয়েত সমিতি গঠিত হয়। পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি নির্বাচনও ছিল সোমবার।
ক্রান্তির বিডিও প্রবীরকুমার সিংহের উপস্থিতিতে ১৩ জন পঞ্চয়েত সমিতির সদস্যের হাজিরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয় বোর্ড গঠন। সভাপতি হিসাবে পঞ্চানন রায় ও সহ-সভাপতি হিসেবে মহসেনা বেগম মনোনীত হন। বোর্ড গঠনের পর নতুন সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের ফুলের মালা পরিয়ে তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা স্বাগত জানান। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ছিল কড়া পুলিশ নিরাপত্তা। তার মধ্যেই অভিযোগ ওঠে, মাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এক কিলোমিটার আগে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।
নবগঠিত ক্রান্তি পঞ্চয়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১৬। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির দলীয় কর্মীসভায় মাল ব্লককে ভেঙে ক্রান্তি ব্লক গঠনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে প্রক্রিয়া শুরু হয়।