অভিজিৎ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে তাঁর মত। ছবি: সংগৃহীত।
বিতর্কে জর্জরিত অভিজিৎ ভট্টাচার্য। শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর কপূর হয়ে মহাত্মা গান্ধী— তাঁর কটাক্ষ থেকে কেউ রেহাই পাননি। ‘জাতির জনক’ সম্পর্কে গায়ক জানিয়েছিলেন, ‘ভুল করে’ তাঁকে ভারতের ‘জাতির জনক’ বলা হয়। আসলে তিনি ‘পাকিস্তানের জনক’! এখানেই থামেননি তিনি। নিজের স্বপক্ষে তাঁর আরও যুক্তি, মহাত্মা গান্ধীর জন্যই ভারত ভাগ, পাকিস্তানের উৎপত্তি এবং সেই দেশের অস্তিত্ব।
বরাবর ‘স্পষ্টভাষী’ গায়ক অভিজিৎ। সেই জায়গা থেকেই কি মহাত্মা গান্ধীর সমালোচনায় মুখর? কেনই বা তিনি একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন?
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। কিন্তু তিনি নিরুত্তর। যদিও আগেই একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সঙ্গীতশিল্পী আরডি বর্মন মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক ছিলেন, তেমনই সঙ্গীতের জগতে আরডি বর্মন জাতির জনক ছিলেন!” তাঁর যুক্তিতে, ‘মহাত্মা গান্ধী’কে পাকিস্তানের ‘জাতির জনক’ বলার আরও একটি কারণ, ভারত আগেই ছিল। সেখান থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে। এই বিভাজনের জন্য তিনি মহাত্মাকেই দায়ী করেছেন।
শাহরুখ, সলমন বা রণবীর তাঁর কটাক্ষের পাল্টা কোনও জবাব দেননি। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর বেলায় আর ছাড় পেলেন না তিনি। জানা গিয়েছে, অভিজিতের বক্তব্য শুনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুণের আইনজীবী অসীম সরোদ। তিনি গায়ককে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। সেখানে তাঁকে লিখিত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি দেশভাগ নিয়ে গান্ধীজির উক্তি নোটিসে উল্লেখ করে লিখেছেন, “গান্ধীজি বলেছিলেন, ‘দেশ ভাগ করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে সেটা করতে হবে। যতদিন আমি বেঁচে, কিছুতেই ভারত ভাগে রাজি হব না।’ সেই মতো গান্ধী হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। সৌভ্রাতৃত্বের আদর্শকেও প্রচার করেছিলেন।”