arrest

কেজি খানেক লঙ্কাগুঁড়ো নিয়ে শিকারের অপেক্ষায় রাস্তায়! টহলদারির সময় ধরে ফেলল মালদহ পুলিশ

মালদহ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টহলদারির সময় এক দল যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৬:১১
Share:

ডাকাতির ছক কষার অভিযোগে ধৃত। — নিজস্ব চিত্র।

কেজি খানেক লঙ্কাগুঁড়ো এবং অস্ত্র হাতে নিয়ে জাতীয় সড়কে অপেক্ষা করছিলেন এক দল যুবক। টহলদারির সময় তাঁদের ধরে ফেলল পুলিশ। অভিযোগ, চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে ডাকাতির ছক করেছিলেন ওই যুবকেরা। কিন্তু হামলার আগেই গোটা ‘মিরচি গ্যাং’কে জালে পুরেছে পুলিশ। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহে।

Advertisement

মালদহ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টহলদারির সময় এক দল যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। এর পর তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কয়েকটি ধারালো অস্ত্র, দড়ি, লোহার রড। পাওয়া যায় কেজি খানেক লঙ্কাগুঁড়োও। তদন্তকারীদের অনুমান, দূরপাল্লার কোনও বাস অথবা কোনও বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে মালদহের নলডুবি বাইপাস মোড়ের কাছে জড়ো হয়েছিল ওই দলটি। লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে ছিনতাই অথবা ডাকাতি করা দলটির উদ্দেশ্য বলেও প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।

লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে সর্বস্ব লুট করার উদ্দেশ্যে এমন ‘মিরচি গ্যাং’ পুরাতন মালদহে তৈরি হয়েছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ। ধৃতদের নাম উত্তম দাস, বিশ্বজিৎ সাহা, উজ্জ্বল কর্মকার এবং রবি মণ্ডল। তাঁরা পুরাতন মালদহের সাহাপুর এবং মঙ্গলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে ‘মিরচি গ্যাং’-এর সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মালদহ থানার পুলিশ। এ নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘এমন গ্যাং এই জেলায় নতুন। পুলিশকর্মীদের সর্তক করা হয়েছে। তবে পুলিশের কড়া নজরদারি জন্য সাফল্য এসেছে। বড়সড় কোন অঘটন ঘটেনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement