বাইরনের ছবি পুড়িয়ে বিক্ষোভ কংগ্রেস কর্মীদের। স্লোগানও দেওয়া হল বাইরনের বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।
মার্চের ২ তারিখ থেকে ২৯ মে। ব্যবধান প্রায় তিন মাসের। যে সাগরদিঘিতে বাইরন বিশ্বাসের জয়ে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকেরা আবির উড়িয়ে আনন্দ করেছিলেন, সেই কর্মীদেরই দেখা গেল বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে। শুধু তাই নয়, বাইরনের ছবিতে আগুন ধরিয়ে তাঁর দলত্যাগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেন তাঁরা।
সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। জানান, তিনি আসলে তৃণমূলেই ছিলেন। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। এর পর সোমবার সন্ধ্যা থেকেই সাগরদিঘিতে শুরু হয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। ‘বিশ্বাসঘাতক বাইরন’ স্লোগান তুলে তাঁর ছবিতে আগুন ধরান ওই কর্মীরা। সাগরদিঘি কংগ্রেস কার্যালয়ে বাইরনের ছবি এবং ফ্লেক্স ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ফেলেন তাঁরা। একই সঙ্গে বাইরনকে ‘বিশ্বাস’ করার জন্য প্রদেশ সভাপতি তথা বহরমপুরের সংসদ অধীর চৌধুরীকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতৃত্ব। সাগরদিঘি ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল রহমানের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের প্রতীকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে গাছপালাকে দাঁড় করালেও তা জিতে যেত। কিন্তু অধীরদার জেদে বাইরনকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তার পর তো এই হল!’’
কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাগরদিঘির পাটকেলডাঙ্গার গৌরীপুর কংগ্রেস কার্যালয়েও বাইরনের ছবি, ব্যানার, ফ্লেক্স জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে হরহরি ,বালিয়া, বখরা এলাকায় বাইরনের ছবি সম্বলিত ফ্লেক্স খুলে নেওয়া হয়। বানেশ্বর, কাবিলপুর-সহ একাধিক জায়গায় ছিঁড়ে ফেলা বাইরনের ছবি দেওয়া পোস্টার।
অন্য দিকে, বাইরনকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও। তিনি বলেন, ‘‘মিরজাফরের থেকেও মানুষের সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বাইরন।’’