চূড়াভাণ্ডারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
সভার সময় যত এগোচ্ছে, আকাশের শ্লেট রং ততই ঘন হচ্ছে। একসময়ে মঞ্চের সামনে প্রচুর ফড়িং উড়তে শুরু করল। দাঁড়িয়ে থাকা জেলা পুলিশের এক পদস্থ অফিসার বললেন, “দলে দলে ফড়িং ওড়া মানে কিন্তু বৃষ্টির পুর্বাভাস!” তখনও মাঠে লোক আসছে। বৃষ্টি শুরু হল।
ততক্ষণে খবর এসেছে, চালসা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কপ্টার চূড়াভাণ্ডারের দিকে উড়েছে। তৃণমূল নেতাদের মুখেও মেঘের ছায়া। বৃষ্টির জন্য সময়ের প্রায় দেড়ঘণ্টা আগেই মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, এসে ফাঁকা মাঠ দেখবেন না তো! কপ্টার নামতেই পলকে বদলে গেল ছবিটা। চারপাশ থেকে পিলপিল করে ভিড় জমতে শুরু করল মাঠে। বৃষ্টি-জল উপেক্ষা করে রবিবার পৌনে একঘণ্টা ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকল জমাট ভিড়। সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কপ্টার যখন উড়ে গেল, তখনও মাঠে লোক আসছে। মঞ্চে সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা দুলাল দেবনাথ বলেই ফেললেন, “এই ভিড়টা আমাদের আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল।”
সভা শুরুর দশ মিনিট আগে পর্যন্ত মাঠে জমে থাকা জলে বালি ফেলতে দেখা গিয়েছে। কোথাও আবার গর্ত খুঁড়ে জল বের করতেও দেখা গিয়েছে। সভা শুরুর পরে দেখা যায়, জলের ওপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন কর্মীরা। ভেজা মাঠে বসে পড়েছেন মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার শেষে ভেজা মাঠে বসে থাকা মহিলাদের উলুধ্বনি শুনে থামিয়ে দেওয়া হয় মাইকের স্লোগান।