বাংলাদেশ থেকে দেখা কাঞ্চনজঙ্ঘা। — নিজস্ব চিত্র।
আকাশ পরিষ্কার। দেড়শো কিলোমিটার দূরে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বততে অনায়াসেই দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দারা। প্রতি বছরই অক্টোবর মাসে এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দারা। এ বারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে এখন তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলো এলাকায় বাড়ছে ভিড়।
শীতের আগে আকাশ মেঘহীন। কম দূষণের মাত্রাও। এখন মহানন্দার কোলঘেঁসা তেঁতুলিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের দিব্যি নজরে আসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর এই ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে এখন অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন তেঁতুলিয়ায়। পর্যটকদের অনেকে এই দৃশ্য ফোনবন্দিও করছেন। পরিবেশবিদদের মতে, তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক ডাকবাংলো খানিকটা উঁচু এলাকায় অবস্থিত। সেই কারণে সূর্যোদয়ের সময় এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় স্পষ্ট। বেলা বাড়লে বেড়ে যায় রোদের তেজও। সেইসঙ্গে ক্রমেই মিলিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যাস্তের কিছুটা আগে আবার দেখা যায় ওই পর্বতচূড়া।
তেঁতুলিয়ায় পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে ডাকবাংলো এবং হোটেলও। মেহেদি হাসান নামে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য উপভোগ করতে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ফেসবুকে দেখতে পাই পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। এমন খবর পাওয়ার পর বন্ধুদের নিয়ে পঞ্চগড়ে সকালে এসে দেখতে পাই কাঞ্চনজঙ্ঘা।’’
তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘বর্ষার পরবর্তী শরতের শেষভাগে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলছে। এ জন্য দিন দিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের আবাসিক সমস্যা দূর করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোকে নতুন করে সাজিয়েছি।’’