মমতাকে লতা এবং সচিনের সঙ্গে তুলনা করলেন পরিচালক-বিধায়ক রাজ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং প্রয়াত গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা চিত্রপরিচালক রাজ চক্রবর্তী। শুক্রবার একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে রাজের মন্তব্য, ‘‘ভগবান লতা মঙ্গেশকর বা সচিন তেন্ডুলকরকে যে রকম একটা উদ্দেশ্য নিয়ে জন্ম দিয়েছেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের সেবা করতে জন্ম দিয়েছেন।’’ ব্যারাকপুরের বিধায়কের কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নেত্রী, সারা ভারতের মধ্যে এমন এক মুখ্যমন্ত্রী, সবচেয়ে বেশি যিনি মানুষের কথা ভাবেন। মমতা যখন কাজ করেন, তখন ভাবেন না সামনের লোকটি কোন রঙের— তিনি সিপিএম না বিজেপি, না কি কংগ্রেস। তিনি জানেন, তাঁকে শুধু মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’’ এর পর ‘চ্যালেঞ্জ’ সিনেমার পরিচালকের সংযুক্তি, ‘‘লতা মঙ্গেশকর, সচিন তেন্ডুলকর— এঁদের ভগবান পাঠিয়েছেন কোনও একটা কারণের জন্য। তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করার জন্য। তাঁকে সম্মান করা উচিত।’’
রাজের দাবি, যে কোনও ক্ষেত্রেরই মানুষ এক জন মানুষকে মাথা নত করে সম্মান করেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ বলেন, ‘‘কিছু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা, অপপ্রচার করছে বটে, কিন্তু তাতে লাভ হবে না। কারণ, মানুষ সত্যিটা জানেন।’’ রাজের কথায়, ‘‘যে মানুষটা আমার-আপনার ভালর জন্য দিন-রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন, তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে!’’
যদিও রাজের এই বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছেন বিরোধী নেতারা। এর আগে মমতাকে মা সারদার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূলের আর এক বিধায়ক নির্মল মাজি। তিনি দাবি করেন, ‘‘দিদিই মা সারদা।’’ মদন মিত্রের মতে, মমতার মধ্যে ‘ঐশ্বরিক ক্ষমতা’ আছে। মানস ভুইয়াঁ আবার মমতাকে তুলনা করেছেন ‘মা দুর্গার’ সঙ্গে।
ব্যারাকপুরের বিধায়কের তুলনা টানা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কে কত নম্বর বাড়াবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। রাজের বক্তব্য প্রসঙ্গে বনগাঁ জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলে দুর্নীতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করতে গেলে কম্বলে পশম বাছার মতন ঘটনা ঘটবে।’’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার বিকেলে সেই কর্মসূচিতেই ছিলেন রাজ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ খেলাঘর ময়দানে ওই কর্মসূচির মঞ্চ থেকে বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘দলের কতিপয় লোকের ভুল কাজের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব। দুর্নীতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। দলে তাদের কোনও জায়গা হবে না।’’