মহম্নদ আসিফ। —ফাইল চিত্র
পরিবারের সদস্যদের খুন করতে অনলাইনে ঘুমের ওষুধ কিনেছিল কালিয়াচক-কাণ্ডের হোতা মহম্মদ আসিফ। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, ঘুমের ওষুধ খাইয়েই পরিবারের ৪ জনকে খুন করেছিল আসিফ। তার জন্য প্রয়োজনীয় ঘুমের ওষুধ আসিফ কী ভাবে সংগ্রহ করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওষুধের দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আছে। চার জনকে অচৈতন্য করার জন্য যে পরিমাণ ঘুমের ওষুধ প্রয়োজন তা কী ভাবে সংগ্রহ করেছিল আসিফ? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তদন্তকারীদের সামনে। পুলিশকর্তারা মনে করছেন, অনলাইনের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করে আসিফ। তদন্তকারীদের আরও মত, আসিফ নিজের নাম তো বটেই পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম ব্যবহার করেও একাধিক ওয়েবসাইটে যাতায়াত করত। সে ভাবেই সে ওই ঘুমের ওষুধ কিনেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আসিফ কেন ঘুমের ওষুধ খেত? তার কি কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল? এই বিষয়গুলিও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে গোয়েন্দাদের ধারণা, আসিফের বিরুদ্ধে জুলাই মাসের মধ্যেই চার্জশিট দেওয়া সম্ভব। সোমবার মালদহ জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে।’’