দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে ধুপগুড়িতে। বাড়ির পাশে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। কী কারণে ওই প্রৌঢ় তাঁর স্ত্রীকে খুন করলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়ার অঞ্চলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফণীবালা রায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে। ওই ঘটনায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ফণীবালার স্বামী ভূপালচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমাঝেই অশান্তি হত। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাধে। অভিযোগ, সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন ভুপাল। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ফণীবালা। পর দিন সকালে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
এ নিয়ে ডিএসপি বিক্রমজিৎ লামা বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত। গতকাল তা চরমে পৌঁছয়। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেন স্বামী। আজ তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।’’