হাতেনাতে ধরা পড়ার পর পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত স্বামীকে। — নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রী অসুস্থ। তাই স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন স্বামী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অ্যাডমিট কার্ড জাল করে স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন স্বামী। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচোল কলেজে।
শুক্রবার ছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ জেনারেলের পঞ্চম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা। মানিকচক কলেজের এক পরীক্ষার্থী পুষ্পা চৌধুরীর পরীক্ষার আসন পড়েছিল মালদহের চাঁচল কলেজে। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে পুষ্পা চৌধুরীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন সিদ্ধার্থশঙ্কর দাস। পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা নজরে আসে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষকের। অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করতেই জারিজুড়ি ফাঁস হয়ে যায়। দেখা যায় অ্যাডমিট কার্ডটি নকল!
হাজিরা খাতায় পুষ্পা চৌধুরীর ছবি এবং নাম রয়েছে। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে পুষ্পার ছবির পরিবর্তে রয়েছে সিদ্ধার্থশঙ্করের ছবি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সিদ্ধার্থশঙ্কর সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে দাবি করেন, পুষ্পা তাঁরই বোন। তিনি খুবই অসুস্থ। তাই বোনের হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মানিকচক কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পুষ্পা অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দিতে পারছেন না। তাই স্ত্রীকে পরীক্ষায় পাশ করাতে জালিয়াতির পথে হেঁটেছেন স্বামী। বোন নয়, আসলে স্বামী সিদ্ধার্থশঙ্কর স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন চাঁচল কলেজে। পুষ্পার বাবা উত্তম বলেন, ‘‘মেয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ। তাই বাড়িতে রয়েছে। তবে জামাই মেয়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে গেছেন, তা আমাদের জানা ছিল না।’’ মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’