—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ সফরের কথা রয়েছে। তার দিন একনও স্থির হয়নি। তার মধ্যেই মালদহের কোতোয়ালি হাভেলির অতিথি হতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যপালের আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)।
মঙ্গলবার দুপুরে হাভেলিতে কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ডালুবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যপালকে অতিথি হিসেবে কোতোয়ালিতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে রাজভবন থেকে নির্দিষ্ট দিন এখনও মেলেনি।” আজ, বুধবার রাজ্যপালের সফরের দিন স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন ডালু। তার পরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলা জুড়েই।
ইন্দিরা গাঁধী, সোনিয়া গাঁধী থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়। একাধিক ভিভিআইপি অতিথি হয়েছেন মালদহের কোতোয়ালি হাভেলির। শুধু জেলা নয়, রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতেও পরিচিত কোতোয়ালি হাভেলি। এই হাভেলিতেই থাকতেন কংগ্রেসের নেতা এবিএ গনিখান চৌধুরী। ২০০৬ সালে মৃত্যু হয় গনির মৃত্যু হয়। তবে আজও জেলার রাজনীতিতে প্রসঙ্গিক তিনি। তাঁর পরিবারের উপরে মালদহের মানুষের ভরসা এখনও রয়েছে। গনির প্রয়াণের পরে তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী হয়েছেন। এক সময় কোতোয়ালি ভবনেরই দু’জন সাংসদ ছিলেন মালদহে। একই সঙ্গে দু’জন বিধায়কও ছিলেন।
তবে মৌসম নুর এবং আবু নাসের খান চৌধুরী (লেবু) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর নির্বাচনে হেরে যান। আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরী কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক রয়েছেন। ইশা অবশ্য লোকসভা ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
এই কোতোয়ালিতেই এ বার অতিথি হিসেবে রাজ্যপালের আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই নেতৃত্বের সঙ্গে ছিলেন আবু হাসেম খান চৌধুরীও। তিনি ওই দিনই রাজ্যপালকে কোতোয়ালি আসার আমন্ত্রণ জানান। কোতোয়ালির কংগ্রসই সদস্যদের দাবি, “রাজ্যপাল আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। আগামী ১৫ নভেম্বর মুর্শিদাবাদে ফরাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসার কথা রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের।” ওই দিনই দুপুরে রাজ্যপাল কোতোয়ালিতে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন ডালু। তিনি বলেন, “রাজ্যপালকে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আমার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি। খুব শীঘ্রই দিন ঠিক হয়ে যাবে।”
এ দিনই কোতোয়ালি ইশা খান, মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিম আলমদের নিয়ে বৈঠক করেন ডালু। ইশা বলেন, “আমাদের বাড়িতে অনেক ভিভিআইপি অতিথি হিসেবে এসেছেন। আমার জেঠু বরকত সাহেব রাজনীতির ঊর্ধ্বে ছিলেন। তাঁকে সকলে খুব স্নেহ করতেন।”
রাজ্যপালের কোতোয়ালিতে আসা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার জুড়েই। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম ওই হাভেলিতেই থাকেন। তিনি এ দিন বলেন, “কোতোয়ালি রাজ্যপাল আসার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি জানার পরেই মন্তব্য করব।”