ছবি সংগৃহীত।
আনলকে পর্বেও, ‘লক’ হয়েই থাকল মালদহের ঐতিহ্যবাহী ট্রেন গৌড় এক্সপ্রেস। কেন গড়াচ্ছে না গৌড় এক্সপ্রেসের চাকা, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। গৌড় লিঙ্ক বালুরঘাট পর্যন্ত চালানোর দাবিতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও লিঙ্ক বা পুরো ট্রেন বালুরঘাট স্টেশন পর্যন্ত যাওয়া এখনই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রেল। অন্য দিকে, গৌড় এক্সপ্রেস দ্রুত চালানোর দাবিতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন বিজেপিরই আরেক সাংসদ খগেন মুর্মু। গৌড় এক্সপ্রেস নিয়ে দুই সাংসদের ভূমিকাকেই এখন দুষছে বিরোধী শিবির।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌড় এক্সপ্রেসে জুড়ছে নতুন আধুনিক কোচ। দুর্ঘটনা ঘটলে কামরা লাইন থেকে উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকবে। এমন অবস্থায় পুরনো কামরা নিয়ে গৌড় লিঙ্ক চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বালুরঘাট লাইনে আধুনিক কামরার ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো নেই।
এতেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি। লিঙ্ক বা পুরো গৌড় এক্সপ্রেসকে বালুরঘাট স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত। রেলমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরকে সে কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেন সুকান্ত। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই, গৌড় এক্সপ্রেস দ্রুত চালু হোক। তবে বালুরঘাট স্টেশন পর্যন্ত লিঙ্ক বা পুরো ট্রেন নিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।’’ পাশাপাশি চিঠি দিয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপির সাংসদ খগেনও। এ দিন তিনি বলেন, “মালদহবাসীর সুবিধার্থে ট্রেনটি দ্রুত চালানোর জন্য কেন্দ্রে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
রেলের এক কর্তা বলেন, “দুই হেভিওয়েট সাংসদ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ায় আনলক পর্বে বিভিন্ন ট্রেন চালু হলেও বন্ধ রয়েছে গৌড় এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে মালদহ থেকে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী চলাচল করে।’’ মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার বলেন, “ট্রেন চালানোর জন্য আমরা প্রস্তুত। নির্দেশ পেলেই চালানো হবে।’’ মালদহের তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “সাংসদেরা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে গৌড় এক্সপ্রেস নিয়ে টানাটানি করছেন। তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’ যদিও তৃণমূলের কটাক্ষকে আমল দিতে নারাজ সুকান্ত এবং খগেন দু’জনই।