বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনায় দিল্লির পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নয় ঢাকা। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের হিসাব, চলতি বছরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ২,২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন শুক্রবার লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, সংখ্যাটি অনেক কম। মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের হিসাবে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ‘প্রেস উইং’ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
ভারতের তুলে ধরা পরিসংখ্যানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘অতিরঞ্জিত’ বলে ব্যাখ্যা করছে ইউনূসের ‘প্রেস উইং’। তাদের দাবি জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর মোট ১৩৮টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৩৬৮টি ঘরবাড়িতে হামলা হয়েছে এবং ৮২ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ ইউনূসের প্রেস উইংয়ের দাবি তুলে ধরে জানিয়েছে, সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ‘বাসস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ৪ অগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের পুলিশের সদর দফতর। এখনও পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দাবি, বেশিরভাগ হামলাই হয়েছে ৫ অগস্ট থেকে ৮ অগস্টের মধ্যে। যে সময়ে সে দেশে কোনও সরকার ছিল না। পাশাপাশি বেশিরভাগ হামলাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ।
তবে শুক্রবার দিল্লিতে লোকসভায় বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য তুলে ধরেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ৪৭টি অত্যাচারের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ৩০২। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২,২০০। বিদেশ মন্ত্রক এ-ও জানিয়েছে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান ছাড়া ভারতের অন্য কোনও প্রতিবেশী দেশে হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেনি।