এ ভাবেই পাড় ভাঙছে নদী। নিজস্ব চিত্র।
ভরা বর্ষায় নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে ধূপগুড়ির আংরাভাসার নেপালি বস্তির বাসিন্দারা। বাড়িঘর ছেড়ে অধিকাংশই অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। কেটে ফেলা হচ্ছে সমস্ত গাছ।
ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্স জুড়ে ভারি বর্ষণে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে একাধিক নদীতে। জলঢাকা, ডুডুয়া, আংরাভাসা, তিস্তা, হাতিনালা-সহ একাধিক নদীর জলস্তর বাড়ায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিঘা লাইন ও নেপালি বস্তি এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ২০ বিঘা চাষের ক্ষেত। এমনকি নদীগর্ভে যেতে বসাতে বসতবাড়ি। তাই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে আংরাভাসা এলাকার নেপালি বস্তি এলাকায় বাসিন্দারা। বাড়ি ঘর ভেঙে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।
নদীর ধারে বসবাসকারীদের অভিযোগ, এখনও দেখা মেলেনি প্রশাসনিক কর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেআইনি ভাবে নদীখাত থেকে বালি পাথর তোলার কারণে নদী গতিপথ পরিবর্তন করেছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল চক্রবর্তীও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেআইনি পাথর ও বালি-চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বলেন, নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি পাথর তলাতেই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীর এমনভাবে ভাঙছে বাড়িঘরের পাশ দিয়ে এখন জল বইতে শুরু করেছে। ফের বৃষ্টি হলেই সমস্ত বাড়িঘর নদীতে চলে যাবে। তাই আতঙ্কেই বাড়িঘর ছেড়ে সকলে সরে যাচ্ছেন। আমি সেচ দফতর, মহকুমাশাসক এবং বিডিও-কে গোটা ঘটনা জানিয়েছি। তাঁরা এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন।’’