জেনারেল এম এম নরবণে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সহজলভ্য হয়েছে ড্রোন। আর সেখানেই উঁকি মারছে নিরাপত্তার আশঙ্কা। জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে এমনই কথা জানালেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাষ্ট্রের পাশাপাশি দেশহীন গোষ্ঠীগুলির (নন স্টেট অ্যাক্টর) কাছে ড্রোন পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে।’’
সেই সঙ্গে জেনারেল নরবণে বলেছেন, ‘‘হামলাকারী ড্রোন এবং প্রতিরোধী ড্রোনের আবির্ভাব আমাদের ভবিষ্যতের যুদ্ধ কৌশলের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে।’’ এ ক্ষেত্রে সীমান্ত পেরিয়ে আসা হামলাকারী ড্রোনের মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার দ্বিমুখী কৌশলের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। প্রথমত, আকাশে শত্রু ড্রোনের উপস্থিতি চিহ্নিত করে সেটি গুলি করে নামানো। দ্বিতীয়ত, সামরিক ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে হামলকারী ড্রোনের মোকাবিলা। তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে যে কোনও ধরনের হামলা মোকাবিলায় শক্তিশালী পরিকাঠামো রয়েছে ভারতীয় সেনার।’’
গত শনিবার পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে শনিবার রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বোমাবাহী ড্রোনের হামলা চালায়। তাতে বায়ুসেনার দুই কর্মী আহত হন। বায়ুসেনার প্রযুক্তি বিভাগ ভবনের উপরে প্রথমটি এবং খোলা জায়গায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সীমানা পেরিয়ে বোমাবাহী আধুনিক ড্রোনদু’টি এসেছিল জম্মুর আকাশে।
কিন্তু নিরাপত্তা বলয় টপকে কী ভাবে ড্রোন দু’টি সেখানে ঢুকে পড়ল তার সদুত্তর মেলেনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বুধবার কাশ্মীয় উপত্যকায় মোতায়েন ১৫ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি পি পাণ্ডে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতে জম্মুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।