Patient

রোগীর অবস্থা কী, পরিজনকে বলবেন ডাক্তার

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি অনলাইনেও রোগীর পরিজনদের তথ্য জানানোর ব্যাপারেও জোর দেওয়া হচ্ছে

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০৬:১২
Share:

তথ্যদান: রোগীর পরিজনদের সঙ্গে প্রথম আলোচনায় কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

জেলার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর শারীরিক অবস্থা তাঁদের পরিজনদের জানাতে ‘পেশেন্ট পার্টি মিট’ শুরু করলেন চিকিৎসকেরা। শনিবার কোচবিহারের চকচকা কোভিড হাসপাতালে ওই পরিষেবা শুরু হয়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন দুপুর ১টায় সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনদের মুখোমুখি হবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা। গড়ে এক ঘণ্টা করে রোগী সম্পর্কিত তথ্য পরিজনদের জানানোর কাজ চলবে। এ দিন রোগীর পরিজনদের অন্তত ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। রোগীদের ব্যাপারে তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন চিকিৎসকেরা। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত রয়েছে। এবার রোগীর পরিজনেরা যাতে উদ্ববিগ্ন না হন, সেজন্যই ওই উদ্যোগ।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি অনলাইনেও রোগীর পরিজনদের তথ্য জানানোর ব্যাপারেও জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন চিকিৎসকেরা রোগীকে দেখে যাওয়ার পর ‘বেড হেড টিকিটে’ কী লিখছেন তাও ঘরে বসে জানতে পারবেন পরিজনেরা। জেলাশাসক জানান, দ্রুত ওই অনলাইন সুবিধা চালু হবে। জেলায় লালারসের নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়েছে। দৈনিক প্রতি মহকুমায় গড়ে ৪০০-৫০০ জনের নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। হোম আইসলেশনে থাকা আক্রান্তদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রীর সুস্বাস্থ্য কিট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট তৈরির কাজে গতি বাড়াতেও পদক্ষেপ হয়েছে।

চকচকার ওই কোভিড হাসপাতাল চত্বরের একটি হলঘরে এ দিনের পেশেন্ট পার্টি মিটে ছিলেন কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জিত ঘোষ, ওই হাসপাতালের সুপার দেবদীপ ঘোষ, সহকারী সুপার দিব্যেন্দু দাস প্রমুখ। কোভিড হাসপাতালের সুপার বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশ ও সিএমওএইচের তত্ত্বাবধানে পেশেন্ট পার্টি মিট শুরু করা হয়েছে।” হাসপাতালের সহকারী সুপার দিব্যেন্দু দাস বলেন, “রোগী কেমন রয়েছেন, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করছেন কিনা, কবে নাগাদ সুস্থ হতে পারেন এমন নানা বিষয়েই মূলত তাঁদের পরিজনেরা জানতে চেয়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা যে অনেকটা আশ্বস্ত সে-কথাও জানিয়েছেন। আমাদেরও ভাল লাগছে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলায় এতদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা হত। মহকুমাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হওয়ায় তা দুই থেকে আড়াই হাজার করা যাবে। তবে ওই ব্যাপারে বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement