Jhalda Municipality

পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলে ধাক্কা! পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূলের

সোমবার পুরসভার আস্থাভোটে হাজির ছিলেন না শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর। পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩০
Share:

কংগ্রেসের বিজয় মিছিল। নিজস্ব ছবি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল শাসকদল। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল তৃণমূল। অন্য দিকে, দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে, সোমবার পুরসভার আস্থাভোটে হাজির ছিলেন না শাসকদলের কোনও কাউন্সিলর। পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামেও স্লোগান দেওয়া হয়।

Advertisement

গত মাসে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর (মোট ছ’জন) অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। ঠিক তার পরেই পুরসভায় শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলে তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। যিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলত্যাগেই বদলে যায় সমীকরণ। ১২ আসনের পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরসভা হাতছাড়া হতে চলেছে শাসকদলের। পুরপ্রধানের পদ হারাতে চলেছেন সুরেশ। প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক সভায় এই সুরেশের বপু দেখেই চোখ কপালে উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আঁতকে উঠে বলেছিলেন, ‘‘এত বড় মধ্যপ্রদেশ!’’

গত পুরভোটের পরেই খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। তপন খুনে শাসকদলকেই অভিযুক্ত করেছিল কংগ্রেস। সেই ঘটনার তদন্তভার পরবর্তীকালে সিবিআইয়ের হাতে যায়। তপন খুনের পর সেই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। এ বার গোটা পুরসভাই তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল হাত শিবির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement