Buniyadpur

৪ দিন পরে দেহ মিলল মায়ের, স্তব্ধ ভাই-বোন

বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে পরে গিয়েছিলেন। আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারণ জানা যাবে।’’

Advertisement

নীহার বিশ্বাস 

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৩
Share:

নির্বাক: সুশান্ত-শিল্পী। নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার সরাইহাটে গিয়েছিলেন মুরগি বিক্রি করতে। তার পরে বাজার করে বাড়ি ফেরার কথা। মায়ের অপেক্ষায় বাড়িতেই ছিল দুই ভাই-বোন। কিন্তু হাট থেকে মা আর ফেরেননি। নাবালক দুই সন্তান অনেক খুঁজেও মায়ের খোঁজ পায়নি। শুক্রবার লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে এলাকার একটি পুকুর থেকে ভেসে উঠল হারিয়ে যাওয়া মায়ের দেহ। সেই দৃশ্য দেখে কথা হারিয়েছে সুশান্ত ও শিল্পী। পাশের বাড়ির বারান্দায় বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে তারা।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বুনিয়াদপুরের করখা এলাকার বাসিন্দা নিরো পাহান (৩০) বাড়িতে বছর দশ-বারোর দুই ছেলে-মেয়ে সুশান্ত ও শিল্পীকে নিয়ে থাকতেন। স্বামী সুনীল ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। প্রতিবেশীরা জানান, নিরো মাঠে-ঘাটে শ্রমিকের কাজ করে ও বাড়িতে মুরগি পুষে কোনও মতে সংসার চালান। মঙ্গলবার হাটে গিয়েছিলেন মুরগি বিক্রি করতে। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান নিরো। দুই ভাই-বোন মিলে এলাকায় খুঁজে বেড়ালেও মায়ের খবর পায়নি। মা হারিয়ে যাওয়ার গত চার দিন ধরে কার্যত না খেয়ে কাটিয়েছে তারা। প্রতিবেশী কল্পনা সরকার বলেন, ‘‘ওরা না খেয়েই ছিল। তার পর আমরাই ডেকে একটু খাওয়াই।’’

এ দিন সকালে শিল্পী পড়শিদের কাছে খবর পায়, পাশের পাড়ার একটা পুকুরে এক জন মহিলার দেহ ভেসে আছে। শুনেই ছুটে যায় সেখানে। মায়ের পরনের হলুদ শাড়ি দেখেই চিনতে পারে।

Advertisement

এ দিকে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ওই পুকুরের ধারে কী ভাবে তাঁর দেহ মিলল তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। বাসিন্দাদের একাংশ ও পুলিশের দাবি, অতিরিক্ত মদ্যপান করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পরে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাজার থেকে তাঁদের ঘরে ফেরার সরাসরি পথও সেটি নয় বলেই দাবি স্থানীয়দের। বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে পরে গিয়েছিলেন। আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারণ জানা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement