Exmaination

পরীক্ষা কী ভাবে, শুরু আলোচনা

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পরীক্ষা নিয়ে তৎপরতা শুরু করা দিল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৬:০৪
Share:

পরীক্ষা নিয়ে চলছে আলোচনা

সবাই তাকিয়ে ছিলেন আদালতের রায়ের দিকে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কয়েক দফায় আলোচনাও সেরে নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পরীক্ষা নিয়ে তৎপরতা শুরু করা দিল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেই ঠিক কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “মহামান্য আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা ঠিক কিভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।, অনলাইন না বসিয়ে পরীক্ষা না অন্য কোনও ব্যবস্থা হবে, সব নিয়েই আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে। এই সময় পরীক্ষা সহজ ব্যাপার নয়। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নেওয়া হবে।” উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য ফাইনাল ইয়ারে বিষয়ের উপরে উপস্থাপনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার প্রদ্যুৎ পাল বলেন, “অন্যবার সামনাসামনি বসে প্রেজেন্টেশন হয়। এবারে করোনা আবহের জন্য তা অনলাইনে হয়েছে।”

সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের পরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওয়েবকুপা। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের আহবায়ক সাবলু বর্মণ বলেন, “আদালতের রায়কে আমরা সম্মান করি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হল। এর কারণে কোনও ছাত্রছাত্রী বা অধ্যাপক-শিক্ষকদের মধ্যে সংক্রমণ হলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে।”

Advertisement

ইউজিসি কিছুদিন আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা নিতে হবে। তা নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন অনেকেই। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষরাও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। তা নিয়েই মামলা হয় আদালতে। এদিন পরীক্ষা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানিয়ে দেয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পরীক্ষা পিছোলে ইউজিসির সঙ্গে কথা বলতে হবে রাজ্য সরকারকে। আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও পড়ুয়াকে পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে

উন্নীত করা যাবে না। ওই রায়ের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি ওই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বর্তমানে জেলারই ১৭ টি কলেজ রয়েছে। কোনও কলেজে ছাত্রছাত্রী বেশি আবার কোথাও কিছুটা কম রয়েছে। সবমিলিয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও হবে ১৭ হাজার। এই অবস্তায় ওই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া যায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সাবলু বর্মণ বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে সবাই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। কারণ, কারও কোনওরকম অসুবিধে যাতে না হয় সে বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement