নিজের বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে স্থানীয়দের বিক্ষোভ রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
নিজের বাড়ির কাছেই জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এলাকাবাসীরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাতে মেজাজ হারান রবীন্দ্রনাথও। রবীন্দ্রনাথের নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা।
বৃহস্পতিবার নতুন পল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে পুরসভায় যাওয়ার পথে বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। দেহরক্ষীরা পরিস্থিতি সামাল দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা লাটে উঠেছে। প্রবল সমস্যা পানীয় জল নিয়েও। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। তার আগে বেহাল নিকাশি নালা পরিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন রবীন্দ্রনাথ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন রবীন্দ্রনাথ। তাতেই খেপে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পাল্টা রবীন্দ্রনাথের অনুগামীদের দাবি, চেয়ারম্যানকে টেনে গাড়ি থেকে নামানো হয়। গাড়িতে উঠে বসার পরও চালককে গাড়ি না এগোতে হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দ মিন্টু মিয়া বলেন, ‘‘৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লিতে রবীন্দ্রনাথের নিজের বাড়ি। দীর্ঘ দিন ধরে নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার করা হয় না। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। যে হেতু শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে তাই স্থানীয় কয়েক জন তাঁর কাছে আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন নিকাশি নালাগুলি যাতে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু তিনি নিকাশি নালা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি তো দূরের কথা গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয়দেরই গালিগালাজ করেন। তাই আমরাও তাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছি।’’
এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘আজ আমি যখন বাড়ি থেকে বেরোই সেই সময় স্থানীয় কিছু অসামাজিক লোক অযথা আমাকে গালমন্দ করছিলেন। আমি তার প্রতিবাদ করে চলে আসি। সমাজবিরোধীদের মদতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।’’