Siliguri Mayor

গান নিয়ে মন্তব্যের জের, ‘দিদিমণি’র বাড়িতে মেয়র

সামাজিক মাধ্যমে নিজের গান চর্চার একটি ভিডিয়ো দিয়েছিলেন মেয়র। ভিডিয়োর নীচে স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, “গানচর্চা শেষ হলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসে একটু রাস্তার বেহাল অবস্থাটা দেখে যান।”

Advertisement

শুভঙ্কর পাল

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৭
Share:

অসন্তোষ: অভিযোগকারিণীর বাড়িতে মেয়র গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র।

পুরসভা ও রাজনীতি নিয়ে কর্মব্যস্ততার মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চায় অবসর সময় কাটান শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নিজের গান চর্চার ভিডিয়ো দেন তিনি। গান শুনে অনেকে প্রশংসা করেন। তবে সম্প্রতি এলাকার পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে গিয়ে এক মহিলা তাঁর গানের ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে এলাকার রাস্তার হাল নিয়ে মন্তব্য করেন। তাতে ‘অসন্তুষ্ট’ মেয়র গৌতম মঙ্গলবার হঠাৎ হাজির হন অভিযোগকারিণীর বাড়িতে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। সামাজিক মাধ্যমে নিজের গান চর্চার একটি ভিডিয়ো দিয়েছিলেন মেয়র। সে ভিডিয়োর নীচে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, “গানচর্চা শেষ হলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসে একটু রাস্তার বেহাল অবস্থাটা দেখে যান।” সূত্রের দাবি, ওই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হন মেয়র। এর পরে, এ দিন শিবরাম সরণিতে পেশায় গৃহশিক্ষিকা ওই মহিলার অভিযোগ শুনতে তাঁর বাড়িতে হাজির হন মেয়র গৌতম। ওই গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে বসে মেয়র তাঁকে বলেন, “নিজেকে তৃপ্ত করার জন্য রবীন্দ্রনাথের গান করি। আমার ভাল লাগার জন্য করছি। গান নিয়ে মন্তব্য না করে, সমস্যার কথা জানাতে পারতেন আমাকে। বললেই পারতেন, রাস্তা খারাপ রয়েছে। ‘গান চর্চা শেষ হলে’ কথাটা পছন্দ হয়নি। সারা দিন আমি গানের চর্চা করি না। যে রাস্তা বেহাল বলছেন, সে রাস্তা মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।”

গৃহশিক্ষিকা তখন মেয়রকে বলেন, ‘‘ভোটের আগে এক বারই আপনাকে দেখেছিলাম। এখানে আর আসতে দেখিনি।’’ মেয়র পাল্টা বলেন, “৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমি, প্রতি সপ্তাহেই আসি ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের জন্য, শহরের জন্য অনেক কাজ করছি। এক বছর হল ক্ষমতায় এসেছি। এর মধ্যে যতটা পেরেছি, কাজ করছি।”

Advertisement

মেয়র চলে যাওয়ার পরে, ওই গৃহশিক্ষিকা স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য বলেন, “আমি যে মন্তব্য করেছিলাম ঠিকই করেছি। মেয়রের পছন্দ হয়নি। তিনি তা জানালেন। কিন্তু এলাকার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বহু বছর আগে এক বার মেরামত হয়েছিল। বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে যায়।”

এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই গৃহশিক্ষিকা বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্মৃতিকণা। এ দিকে মেয়র বলেন, “এখন অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আমাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ মন্তব্য করে থাকেন। পরে দেখা যায়, তাঁরা অনেকেই সিপিএম করেন কিংবা অন্য দল করেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement