পরিবারের সঙ্গে মহম্মদ জালালউদ্দিন (কালো গেঞ্জি পরিহিত)। নিজস্ব চিত্র
বছর চোদ্দ ঘরছাড়া। কোনও খোঁজ নেই। এক সময় পরিবারের সকলে ধরে নিয়েছিলেন তিনি মৃত। ঠিক সেই সময়েই বহু পথ পেরিয়ে ফিরে এলেন তিনি। সৌজন্যে বিএসএফ এবং বিজিবি-র ফ্ল্যাগ মিটিং। শিলিগুড়ির কচুবাড়ির বাসিন্দা মহম্মদ জালালউদ্দিন ১৪ বছর পর ফিরে পেলেন তাঁর পরিবারকে।
জালালউদ্দিনের পরিবারের বক্তব্য, ১৪-১৫ বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও কোনও হদিশ মেলেনি জালালের। পরিবারের সকলেই তাঁর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটা সময় সকলেই ভেবে নিয়েছিলেন জালাল মারা গিয়েছেন।
এর মাঝেই আশার আলো দেখা যায় বছর পাঁচেক আগে। ২০১৭ সাল নাগাদ ডিআইবি মারফত হঠাৎই খোঁজ মেলে হারিয়ে যাওয়া জালালের। জানা যায় তিনি জীবিত। রয়েছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে খোঁজ মেলে জালালের। জানা যায়, ২০১৭ সালে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন জালাল। এর পর তাঁকে অনুপ্রবেশের দায়ে দু’বছর এক মাস কারাবাসের শাস্তি হয় তাঁর। এর পর দিনাজপুর কারাগারে আরও দু’মাস থাকতে হয় তাঁকে
ভাইয়ের খবর মেলায় তড়িঘড়ি বাংলাদেশে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে পরিবার। বাংলাদেশ পৌঁছে সেখানে তাঁর জামিনের আবেদন করেন পরিবারের সদস্যরা। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়। জেল থেকে বার হওয়ার পর জালালকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে সেখান থেকেও পালিয়ে যান তিনি। বছরখানেক পর খোঁজ মেলে তাঁর।
দীর্ঘ ২৭ মাস বাংলাদেশের জেলে কাটানোর পর বুধবার রাতে ভারতীয় অভিবাসন দফতর মারফত জালালকে হস্তান্তরিত করা হয়। জালালকে ফিরে পেয়ে খুশি গোটা পরিবার। ১৪ বছর পর জালালের এ ভাবে ফিরে আসা নিয়ে বিস্মিত গোটা গ্রামও।