রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত কিভ। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং কামানের গোলায় নিহত ইউক্রেনের অন্তত ৪০ জন সেনা। ইউক্রেন ফৌজের দাবি, তাদের প্রত্যাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত রুশ বাহিনীর অন্তত ৫০ জনের। এ ছাড়া বলি হয়েছেন ইউক্রেনের অন্তত ১৮ জন নাগরিক। বৃহস্পতিবার যুদ্ধের প্রথম দিনেই হতাহতের সংখ্যা একশ পেরিয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সীমান্তে লঙ্ঘন করে রুশ ফৌজ। সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই প্রথম রুশ সেনার অনুপ্রবেশেরও খবর মেলে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ। মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ইউক্রেন বাহিনীর দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে ডনবাসে। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, কামান এবং ভারী মর্টার ব্যবহার করেছে দু’পক্ষই।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস থেকে কিয়েভে অভিযান চালানোর পথে পুতিনের বাহিনী ‘ইউক্রেনের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত খারকিভের দখল নেবে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে খারকিভের অদূরে বিমান থেকে হাজারের উপর রুশ ছত্রীসেনা অবতরণ করে। খারকিভে মোতায়েন ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু হয় পুতিনের পাঠানো প্যারাট্রুপারদের।
স্থল এবং আকাশপথের পাশাপাশি প্রথম দিনের অভিযানে অংশ নিয়েছে রাশিয়ার নৌবাহিনীও। ইউক্রেনের শহর উপকূলবর্তী মারিউপোল এবং ওডেসায় রুশ নৌবাহিনীর ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ থেকেও সেনা অবতরণ শুরু হয়। সেখানে ইউক্রেন বাহিনীর প্রত্যাঘাতে বেশ কয়েক জন রুশ সেনার মৃত্যুর খবর মিলেছে।
ইউক্রেনের সহকারি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী জেরাশচেঙ্কোর অভিযোগ, রাজধানী কিভের সেনা সদরের পাশাপাশি অসমারিক বিমানবন্দর এবং ঘনাবসিতপূর্ণ এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অন্য কিছু বিমানবন্দরেও একই কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রথম দিন রাজধানী কিভেই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় অন্তত ৩০০ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।