John Barla

উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদের, প্রতিবাদ তৃণমূলের

বাংলা বিভাজন যে বিজেপি চায় না তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু জন বার্লা তাঁর দাবি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরতে চান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ০০:১১
Share:

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা নিজস্ব চিত্র।

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দাবি তোলাতে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। বাংলা বিভাজন যে বিজেপি চায় না তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব বাংলা বিভাজন না চাইলেও বার্লা তাঁর দাবি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরতে চান।

Advertisement

শনিবার কোচবিহারের একটি হোটেলে বিজেপি-র একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। সেখানেই বার্লা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের কারণে চা বলয়ের বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যেতে হচ্ছে। শুধুমাত্র বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার অপরাধে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। মানুষ গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন। আমি তাঁদের কান্না দেখেছি।’’

বার্লা আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আওয়াজ তুলেছেন। সেই আওয়াজ রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে। তাঁদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তাঁদের বাড়ি ফেরাতে চাই। তাই আমি এই আওয়াজ তুলেছি।’’ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে তিনি জানান।

Advertisement

বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘‘বর্তমানে যে বাংলা বিভাজনের ষড়যন্ত্র চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বামফ্রন্টের আমলে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত থাকলেও তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরি হয়েছে। রাজবংশীদের ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।’’

বিনয় আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই না উত্তরবঙ্গে আবার রক্ত ঝরুক। কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী উস্কানি দিচ্ছে। তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলা আমরা ভাগ হতে দেব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement