ধৃত আসিফ এবং তার দুই বন্ধু। —নিজস্ব চিত্র।
কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফের দুই বন্ধুর বাড়ি থেকে এ বার প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। আসিফের বয়ানের ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই দুই তরুণকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে খুনের ঘটনায় তাদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসিফের দুই বন্ধু, ২০ বছর বয়সি সাবির আলম এবং ২২ বছর বয়সি মফজুল আলির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৫টি ৭ এমএম পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। গুলি পাওয়া গিয়েছে ৮৪টি। এ ছাড়াও ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। খুনের ঘটনায় তাদের কোনও যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে বিশদে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে একই পরিবারের চার সদস্যের খুনের ঘটনায় শনিবার চার জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর থেকে যে সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে, তাতে শিউড়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। পুলিশের দাবি, স্কুলের গণ্ডি না পেরনো আসিফই তার বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাকে খুন করেছে। দাদা মহম্মদ আরিফকেও খুনের চেষ্টা করে সে। তবে সফল হয়নি। যদিও আরিফের বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তার মধ্যেই আসিফের দুই বন্ধুর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল।