অভিযুক্ত বাংলাদেশি দম্পতি। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবেশী দেশে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে বিএসএফ। তার মধ্যে জাল আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড নিয়ে ভারতে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক বাংলাদেশি দম্পতি। মঙ্গলবার চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তাঁরা। বিএসএফ সূত্রে খবর, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অভিযুক্তদের ব্যাগপত্র দেখার সময় নকল আধার এবং প্যান কার্ড পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দম্পতি জানিয়েছেন, চিকিৎসার খরচ কমানোর জন্য ওই কাজ করেছিলেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দম্পতি বাংলাদেশের রংপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি শিশু। অভিযুক্তদের নাম এনামুল হক সোহেল এবং সানজিদা জিনাত ইলাহী। এনামুলের নামে জাল আধার কার্ড এবং ভারতীয় প্যান কার্ড পাওয়া যায়। বিএসএফ এবং পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রে সই করিয়ে আবার তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে সোহেল জানান, তিনি এর আগে ভারতের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। ওই সময় নকল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ২০২০ সালে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানিয়েছিলাম। চিকিৎসায় খরচ কমানোর জন্য এই কাজ করেছিলাম। তবে অন্য কোনও কাজে এগুলো ব্যবহার করিনি।’’
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের রংপুর থেকে ভারতে এসেছিলেন দু’জন। বিএসএফ তাঁদের কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড পায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তেরা স্বীকার করেন তাঁরা সেগুলো গ্রেটার নয়ডা থেকে জোগাড় করেছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতায় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। তাদের নির্দেশমাফিক ওই দু’জনকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের কাছ থেকে নকল পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’