— প্রতীকী চিত্র।
মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর এবং প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকায়। ধৃতের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ এবং আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালে অভিষেক ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে স্ত্রী মনীষা ঘোষাল বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলা বর্ধমান আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনীষাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে ফেরার কিছু দিনের মধ্যে তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তাঁর আরও দাবি, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। মামলা তুলতে রাজি-না হওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে।
থানায় মনীষা অভিযোগ করেন, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মামলা তোলার জন্য তাঁকে চাপ দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধরও করা হয়। বোতল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এমনকি, তাঁর গলা টিপে ধরা হয় বলে অভিযোগ। কোনও রকমে নিজেকে মুক্ত করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। মেমারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। যদিও মহিলার আইনজীবী স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে তাঁকে হাজির করানো হয়। বিচারক অভিষেককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ৮ অগস্ট আবার তাঁকে আদালতে হাজির করাতে বলা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, ‘‘ধৃত আমাদের বারের সদস্য নন। সম্ভবত তিনি কলকাতা হাই কোর্টে প্র্যাকটিস করেন।’’ অন্য দিকে, আদালতে ধৃতের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে জামিন চান।