—প্রতীকী চিত্র।
পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা উধাও নিয়ে রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পের টাকা উপভোক্তার আকাউন্টে ঢুকতেই উধাও সেই টাকা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে অবশ্য উপভোক্তারা ইসলামপুর সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে প্রশাসন। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, পাঞ্জিপাড়ার সরকার পাড়া, শান্তিনগর ও নতুনপাড়া গ্রাম থেকে ৯ জনের টাকা গায়েব হয়েছে। অভিযোগ, ধাপে ধাপে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকেরা। মহম্মদ নুরুল নামে এক উপভোক্তার অভিযোগ, ‘‘আমি প্রথমে ২০ হাজার টাকা তুলেছিলাম। পরে ফের টাকা তুলতে গিয়ে দেখি বাকি টাকা উধাও। কী করে তা সম্ভব হল, বুঝতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ সুদত্তর দিতে পারেননি। এর পরে ইসলামপুর সাইবার থানায় নালিশ জানিয়েছি।" সঞ্জয় বিশ্বাস নামে আরও এক উপভোক্তা বলেন, ‘‘আবাস যোজনার টাকা ঢোকার পরে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা তুলেছিলাম। বাকি টাকা তিন ধাপে ধাপে টাকা উধাও হয়ে যায়। এখন বাড়ি কী ভাবে তৈরি করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’ অভিযোগ,কারও ২০ হাজার, কারও ২১,৯০০ আবার কারও ২৬,৯০০ টাকা করে গায়েব হয়েছে।
গোয়ালপোখরের বিডিও কৌশিক মল্লিক বলেন, ‘‘উপভোক্তারা এই ব্যাপারে কেউ লিখিত ভাবে অভিযোগ করেননি। তবে তদন্ত করে দেখা হবে আদতে কী হয়েছে।’’
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সুদর্শন বিশ্বাস বলেন, ‘‘গরিবের আবাস টাকা এক দিকে ঢুকছে। আর এক দিক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। প্রসাশনিক নজরদারির অভাব রয়েছে। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করছে। দ্রুত তদন্ত করে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’ পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের প্রধান ওবাইদুল্লা সামস বলেন, ‘‘আমি লোক-মুখে শুনেছি। উপভোক্তদের বলেছি, লিখিত অভিযোগ জানাতে।’’ যদিও ইসলামপুর পুলিশ-জেলার অতিরিক্ত পুলিশে সুপার ডেন্ডুপ শেরপার দাবি, ‘‘সাইবার থানায় অভিযোগ জমা হয়েছে এমন ঘটনা জানা নেই। এলে তদন্ত করা হবে।’’