ফাইল চিত্র।
প্রশাসনিক দায়িত্বভার বুঝে নিয়ে প্রথমেই দার্জিলিঙের পানীয় জল সমস্যা নিয়ে আসরে নামলেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা। বুধবার কলকাতায় তিনি পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে পাহাড়ের জল প্রকল্প নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জিটিএ আইন অনুসারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর হস্তান্তর বিভাগ হিসাবে রয়েছে। রাজ্য সরকারের হাত থেকে দফতরটি জিটিএতে হস্তান্তর হলেও কয়েক বছর কাজকর্ম রাজ্যের দফতর দেখছিল। এ দিন বৈঠকের পর পাহাড়ের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জিটিএ-র অধীনে গেল বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনীত বলেন, ‘‘পাহাড়বাসীর দাবিদাওয়ার মধ্যে পানীয় জল অন্যতম। ভোটের সময় মানুষের সমস্যাগুলি নিয়ে দায়িত্বে এলে কাজ শুরু করব বলেছিলাম। কলকাতায় বৈঠক থেকে পানীয় জল, গ্রাম উন্নয়ন দিয়ে তা শুরু হল।’’ গত মঙ্গলবার অনীত কলকাতা গিয়েছেন। ২১ জুলাই মঞ্চেও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি দার্জিলিং সফরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও তিনি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সফরে জানান, ২০২৪-এর মধ্যে পাহাড়ে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এই ঘোষণা ঘিরে পাহাড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পাহাড়বাসীদের একাংশ এই দুই বছর অপেক্ষা করে দেখার পক্ষপাতী। তেমনিই, এক দলের বক্তব্য, গত দুই দশক ধরে পানীয় জলের উন্নতির কথা বলা হচ্ছে। বামফ্রন্ট আমল থেকে তা চলছে। কিন্তু এখনও কাজের কাজ হয়নি। বালাসন জল প্রকল্প থেকে নানা প্রকল্পের নামই শোনা গিয়েছে, সমস্যা যেখানে ছিল, সেখানেই রয়েছে।
বাসিন্দাদের এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন অনীত। তিনিও মনে করেন, পানীয় জল পাহাড়বাসীর মূল সমস্যাগুলির প্রথম সারিতেই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পানীয় জল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। তবে পাহাড়ের জন্য কিছু সমস্যা রয়েছে। পাইপলাইন থেকে জলে শোধন, সব দেখে এ বার জিটিএ পুরোদস্তুর কাজ করবে।’’ তিনি জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর আমাদের হাতে পুরোপুরি এসে গিয়েছে। তার পরেও রাজ্য সরকারের তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে মন্ত্রী পুলক রায় এ দিন জানিয়েছেন।
দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিককে ঘিরেই পাহাড়ের পানীয় জল প্রকল্প রয়েছে। দার্জিলিং শহরে জলের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কালিম্পঙেও একই অবস্থা। পর্যটনের মরসুমে প্রতি বছর জলের সমস্যা সামনে আসে। বহু হোটেলে থাকার পর জল নিয়ে সরব হন পর্যটকেরা। পাহাড়ের প্রশাসনিক অফিসারেরা জানান, গত এক দশকে জলের সমস্যা কিছুটা মিটেছে। আগে যেমন জল কিনতেও হয়েছে। এখন তা কমেছে। কিন্তু তা পুরো নয়। জিটিএ নতুন বোর্ড নিশ্চয় এ বার ব্যবস্থা নেবে।