দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। — নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কায় খেলনার মতো দুমড়েমুচড়ে গেল অ্যাম্বুল্যান্স। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়িতে। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন রোগী-সহ ৬ জন। দুর্ঘটনার জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ময়নাগুড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সটি রোগীকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে। জলপাইগুড়ি রোডের আমাইদিঘি এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সটি ইটবোঝাই একটি গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সে মোট ৬ জন ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। জখম অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সের বাকিরা ভর্তি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির সুভাষনগরের বাসিন্দা মুক্তি সাহা রবিবার রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। সঙ্গে ছিলেন ছেলে মৃদুল সাহা, মুক্তির স্ত্রী রীতা সাহা এবং প্রতিবেশী বাপন ঘোষ ও গোপাল কর। দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রীতা, বাপন ঘোষ এবং গাড়িচালক প্রশান্ত রায়ের। মুক্তি এবং মৃদুল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। প্রতিবেশী গোপাল ফুলবাড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে ইটবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩ জন জখম। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
(এই খবর প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ঠিক নয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত ৩ জন। এই গুরুতর ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)