বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার সম্পর্কে অবনতি হয়েছিল। দু’টি শিবিরে ভেঙে গিয়েছিল ভারতীয় দল। —ফাইল চিত্র
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হারের পরে নাকি ভারতীয় দলে ভাঙন ধরেছিল। তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। দু’টি শিবিরে ভেঙে গিয়েছিল দল। সেই পরিস্থিতি সামলেছিলেন ভারতের তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী। কী ভাবে? সাজঘরের অন্দরের সেই কথা এত দিনে প্রকাশ্যে এল।
সেই সময় ভারতের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন আর শ্রীধর। নিজের আত্মজীবনীতে ভারতীয় দলের সেই টালমাটাল পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন তিনি। শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘সেই সময় দলের ভিতরের ছবিটা ভাল ছিল না। রবি ভাই সেটা জানত। বিশ্বকাপের ১০ দিন পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফর ছিল। সেখানে যাওয়ার পরে বিরাট ও রোহিতকে ডেকে পাঠায় রবি ভাই। ওদের একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলে। রবি ভাই আসলে সময় নষ্ট করতে চায়নি।’’
ঠিক কী বলেছিলেন শাস্ত্রী, সে কথাও জানিয়েছেন শ্রীধর। বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘রবি ভাই ওদের বলেছিল, ‘দলের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে খেলতে হবে। সবার উপরে দেশ। তোমরা দলের সব থেকে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার। তোমাদের মধ্যে কী রকম সম্পর্ক রয়েছে সেটা বড় বিষয় নয়। দলের স্বার্থে সব মিটিয়ে একসঙ্গে খেলতে হবে।’ বিরাট-রোহিতকে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলেছিল রবি ভাই। ওর কথা না মেনে উপায় ছিল না। পরের গল্প সবাই জানি। দলে আর কোনও সমস্যা হয়নি।’’
যদিও তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি বলে পরে মুখ খুলেছিলেন বিরাট। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি অনেক কিছু শুনেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি। যখন দল খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় তখন এই ধরনের অনেক খবর শোনা যায়। আমরা সে সব কথায় কান দিই না। আমরা জানি, কী করতে হবে। দেশের জন্য খেলা আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সে দিকেই আমরা মন দিই।’’
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতীয় দলে অবশ্য অনেক বদল হয়েছে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরে ভারতের সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে গিয়েছেন বিরাট। তাঁর জায়গায় দলের সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হয়েছেন রোহিত। কোচের পদ থেকেও সরে গিয়েছেন শাস্ত্রী। তাঁর জায়গায় এখন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।