গত ২১ ফেব্রুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ এবং পুলিশের সংঘর্ষে গ্রেফতার হন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সে দিন সকালেই অশান্তি হয় ভাঙড়ের হাতিশালায়। —ফাইল চিত্র।
এ বার ভাঙড়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষের ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জহিরুল মোল্লা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চালতাবেড়িয়ার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বস্তুত, গত ২১ জানুয়ারির ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এই প্রথম কোনও তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হলেন। সোমবারই তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত ২১ জানুয়ারি ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। ওই দিন কলকাতার ধর্মতলায় একটি সভা ছিল আব্বাস সিদ্দিকির দলের। কিন্তু সকাল সকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল এবং আইএসএফের ঝামেলা হয়। দু’পক্ষ একে অন্যকে আক্রমণের অভিযোগ করে। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের অভিযোগ, আইএসএফের লোকেরা তাঁদের একাধিক দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। অশান্তির জন্য স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে দায়ী করেন তিনি। পরে সেই ভাঙচুর দলীয় কার্যালয় পরিদর্শনে যায় ফরেন্সিক দলও।
অন্য দিকে, ওই ২১ জানুয়ারিই ধর্মতলার সভায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ এবং আইএসএফের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ-সহ তাঁর দলের ১৮ জন। নওশাদ এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
পরে হাতিশালার অশান্তির ঘটনার বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাঁরা সকলেই আইএসএফের।
সে দিনের ঘটনার ভিডিয়ো এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর তৃণমূল নেতা জহিরুলকেও গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। কাশীপুর থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে পানাপুকুর এলাকা থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই নিয়ে হাতিশালাতে অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।