মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে মমতা। —ফাইল চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী। বুধবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গেল দেবরাজের স্ত্রী অদিতি মুন্সীকে। রাজারহাট-গোপালনগরের বিধায়ক অদিতিকে বার বার মমতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে বিজয়া সম্মিলনীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তৃণমূলের গায়িকা-বিধায়ক অদিতি। এর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রী এক জন পুলিশ আধিকারিককে ডেকে নেন। তাঁর সঙ্গে অদিতির কথাও বলিয়ে দেন। ঠিক কী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল? অদিতির জবাব, ‘‘কিছুই বলার নেই। সিবিআই ডাকা মানেই যে, কেউ অপরাধী হয়ে গেলেন, তা নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআই ডেকেছে। আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে তাদের সাহায্য করব। আমরা সাহায্য করছি যাতে মূল অপরাধীকে পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।’’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রসেনজিৎ দাস নামে এক জন খুন হন। বাড়ির বাইরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বিজেপি দাবি করে, প্রসেনজিৎ তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে খুনের অভিযোগে চলতি বছরেই তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল না দেবরাজের। পরে তদন্তে তাঁর নাম উঠে আসে।
মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে ডাক পড়ে তাঁর। দেবরাজের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘এটা এক-দেড় বছর আগের ঘটনা। কী ঘটেছিল মনে নেই। যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। সিবিআই তদন্ত করছে। কী ঘটেছিল, তা তদন্তে উঠে আসবে। যদি ওই পরিবারকে কোনও সহযোগিতা করতে পারি, পাশে থাকব।’’