উল্টোডাঙায় একটি মোটর ট্রেনিং স্কুলের দফতরে চলছে ইডির তল্লাশি। —নিজস্ব চিত্র।
অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত আমির খান মামলায় আবার তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর থেকে উল্টোডাঙায় এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন তিন জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রাত গড়ালেও সে অভিযান চলছে। যদিও এই তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইডির তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার দুপুরে উল্টোডাঙার ব্যবসায়ী উমেশ আগরওয়ালের একটি রিয়্যাল এস্টেট সংস্থার অফিস এবং ফ্ল্যাটে বিশাল দল নিয়ে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ভিআইপি রোডের একটি আবাসনে পাশাপাশি রয়েছে ওই ফ্ল্যাট এবং অফিসটি। ওই দু’জায়গার ছাড়াও তল্লাশি চালানো হয় উমেশের একটি মোটর ট্রেনিং স্কুলের দফতরেও। যদিও গোটা অভিযানটি নিয়ে ইডির তরফে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে। আমির খান মামলার সঙ্গে এই তল্লাশির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, ভিআইপি মোটর ট্রেনিং স্কুলের দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি লকার ভাঙা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ডে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং কলকাতা পুলিশ। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। আমিরের ঘরের খাটের তলা থেকে বান্ডিলের পর বান্ডিল নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল তারা।
উল্টোডাঙার এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
সেপ্টেম্বরের তল্লাশি অভিযানে মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু সে সময় আমিরের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এর পর আমিরের ৩০ লক্ষ আর্থিক মূল্যের বিটকয়েনও উদ্ধার করে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। পাশাপাশি, আমিরের সল্টলেকের অফিসে হানা দিয়ে ১,৫০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছিল তারা। অভিযোগ, ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেন চলত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সেই টাকা বদলও করা হত। ওই অ্যাকাউন্টগুলির ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ।