TET

চাকরির দাবিতে আমরণ অনশন! তৃতীয় দিনে অস্থায়ী শৌচাগার বসানো নিয়ে বচসা

সোমবার থেকে তিন দিনে পড়ল টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ের অদূরে অনশনে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিধাননগর শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০১
Share:

আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা। —নিজস্ব চিত্র।

তিন দিনে পড়ল টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। তবু তাঁদের দাবি, অনশন তুলে নেওয়া হবে না। ফলে, কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর রাত কাটছে খোলা আকাশের নীচে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ‘রোদে-জলে নির্জলা অনশন’ করে ‘শেষ’ দেখতে চান তাঁরা। অন্য দিকে, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের এই ধর্নার বিরোধিতা করে হাই কোর্টে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নতুন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের দাবি, অন্যায্য আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না।

Advertisement

বুধবার আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে আইনি লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুর টিচার্স অ্যাসোসিয়শনের সদস্যেরা। দেখা করেছেন বিদ্বজ্জনেরাও।

পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা নড়েননি। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবারও কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনকারীদের এক জন তন্নিষ্ঠা দাস। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মঙ্গলবার থেকে জল পর্যন্ত স্পর্শ করিনি। আমাদের নির্জলা অনশন চলছে। এর পর যদি মৃত্যুমিছিল শুরু হয়, মৃত্যুর কার্নিভাল দেখবে এই কলকাতা শহর-সহ দেশ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতগুলো হবু শিক্ষকের এই আন্দোলন ইতিহাস হয়ে থাকবে।’’ হাই কোর্ট তাঁদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখবে বলে আশা তন্নিষ্ঠার। তাঁর কথায়, ‘‘নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে আদালতে গিয়েছে পর্যদ। আমাদের অনেকে অসুস্থ। অনেকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কয়েক জনের শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, মৃত্যু হতে পর্যন্ত পারে।’’

Advertisement

পর্ষদের আদালতে যাওয়া প্রসঙ্গে অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘আমরা কারও কোনও অসুবিধা করিনি। আমরা পর্ষদের অফিস থেকে অনেকটাই দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসে আছি। তার পরেও পর্ষদ আদালতে গেল। আমরা বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখছি। আমাদের বঞ্চনার কথা তারা ভেবে দেখবে বলেই আশা।’’

অস্থায়ী শৌচাগার বসানো নিয়ে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে পুলিশের বচসা। —নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি আইনানুগ নয়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়ছে, তারা চাকরিপ্রার্থীদের আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু ‘অন্যায্য দাবি’ মানবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, এই আন্দোলনের পিছনে তিনি রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।

আন্দোলনকারীদের ব্যবহারের জন্য অস্থায়ী শৌচালয়ের ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। তবে সেই শৌচালয় পুলিশ বসাতে দেয়নি বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি। বিধাননগর পুরনিগমের অনুমতি ছাড়া ওই শৌচালয় বসানো যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে, এমনটাই দাবি বিজেপির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement