—প্রতীকী ছবি।
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার ‘প্রেমিকের’ বন্ধুর বিরুদ্ধে। মালদহের ঘটনা। মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে বাড়ির পাশের মাঠে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এক জনকে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার ‘প্রেমিকের’ এক বন্ধু। পরে সে আর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজ করা হয় মেয়েটির ‘প্রেমিকের’ বাড়িতেও। অভিযোগ, কিন্তু সেখানে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় ‘প্রেমিক’ ও তার পরিবারের লোকেরা। মারধরও করা হয় তাঁদের। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘‘সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও হদিস মেলেনি। এর পর আজ (বুধবার) সকালে বাড়ির পাশের মাঠে ওকে (মেয়েটিকে) অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।’’ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নাবালিকাকে বাড়ি নিয়ে আসতেই সে জানায় যে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার ‘প্রেমিকের’ই এক বন্ধু তাকে ধর্ষণ করেছে।
মেয়েটির মামা বলেন, ‘‘আমরা থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। বাড়ির লোকেদের যে ভাবে মারধর করা হয়েছে, তার জন্যও আলাদা একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বাড়ির মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে। খুঁজতেই তো গিয়েছিলাম। তার জন্য মারধর করবে!’’