দুই দিচ্ছে এই বাছুর। — নিজস্ব চিত্র।
দুধ দিচ্ছে চার মাসের একটি বাছুর। এমনই আজব কাণ্ড ঘটছে কোচবিহরের তুফানগঞ্জের ধলপল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাট গেন্দাগুড়ি গ্রামে। তবে বিষয়টি একেবারেই অস্বাভাবিক নয় বলে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ছাট গেন্দাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ বরকত আলি মণ্ডলের বাড়িতে দুধেল-বাছুর দেখতে প্রতি দিন ভিড় করছেন বহু মানুষ। বরকত আলির কথায়, মাস চারেক আগে বাছুরটির জন্ম হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন আগে বাছুরটির মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখতে পান তিনি। তাঁর দাবি, বাছুরটি দুধ দিতে শুরু করেছে। এর পরই স্থানীয় এক হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেন বরকত আলি। তাঁর কথায়, ‘‘ডাক্তার এসে দেখেছেন বাছুরটি অনেক দুধ দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘এটা বড় রোগ। বড় ডাক্তার দেখাও।’ তবে বড় ডাক্তার এখনও দেখানো হয়নি।’’
চার মাসের বাছুর দুধ দিচ্ছে। এই কাণ্ড দেখতে রোজই বরকত আলির বহাড়িতে ভিড় জমছে। এ নিয়ে ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সিদ্দিক আলি মিঞা বলেন, ‘‘এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। কোনও পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিইনি। তবে হাতুড়ে ডাক্তার এসে বলেছেন, বড় ডাক্তার দেখাতে।’’
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস বলছেন, ‘‘শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে এমনটা হতে পারে। হয়তো ভ্রূণ থাকার সময় থেকেই ওই বাছুরের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন বেশি। সেটা হয়তো ও মায়ের থেকে পেয়েছে। এটা অস্বাভাবিক নয়। হতেই পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে গোটা বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে আরও ভাল ভাবে বোঝা যাবে।’’