Russia-Ukraine War

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এ বার পুতিনের পাশে আর এক রাষ্ট্রনেতা, পশ্চিমি আপত্তি উড়িয়ে মস্কোতে!

রাশিয়ার গ্যাসের ওপর স্লোভাকিয়া নির্ভরশীল। ইউক্রেনের ভিতর দিয়ে সেই গ্যাস স্লোভাকিয়ায় পৌঁছয়। কিন্তু ইউক্রেন সম্প্রতি তাতে বাধ সেধেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৪
Share:

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল ছবি।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর সমর্থন পেয়েছেন আগেই। ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তির আগে এ বার পূর্ব ইউরোপের আর এক দেশ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে পাশে পেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

Advertisement

আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সোমবার মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিকো। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাঁর এই ঝটিকা সফর ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলেই মনে করা হচ্ছে। স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফরের গোড়াতেই যুদ্ধক্ষেত্রে ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া। শক্তিশালী ড্রোনের সাহায্যে রবিবার রাতে সীমান্তের প্রায় ১০০০ কিলোমিটার অন্দরে রুশ ভূখণ্ডের কাজ়ান এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন সেনা।

রাশিয়ার গ্যাসের ওপর স্লোভাকিয়া নির্ভরশীল। ইউক্রেনের ভিতর দিয়ে সেই গ্যাস স্লোভাকিয়ায় পৌঁছয়। কিন্তু ইউক্রেনের ভিতর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস পরিবহণ-সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। এই পরিস্থতিতে স্লোভাকিয়ার অনুরোধ সত্ত্বেও চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সম্প্রতি জ়েলেনস্কির ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন ফিকো। তার পরেই তাঁর এই মস্কো সফর।

Advertisement

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পরে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন পড়শি দেশগুলিতে। তাঁদের বড় অংশই ঠাঁই পেয়েছেন পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়ায়। এই পরিস্থিতিতে স্লোভাকিয়ার বিরোধী দলগুলি ফিকোর রাশিয়া সফরের নিন্দা করেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশই। যদিও সমালোচনা উড়িয়ে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমি এক সপ্তাহ আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ বিষয়ে জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement