—প্রতীকী চিত্র।
বাজ পড়ে মালদহের পৃথক এলাকায় সাত জনের মৃত্যু হল। মৃতদের মধ্যে তিন নাবালক, নাবালিকাও রয়েছে। বুধবারের ঘটনায় স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ আহত হয়েছেন একাধিক বাসিন্দা। বাজ পড়ে জেলায় একাধিক গবাদিপশুরও মৃত্যুর হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকার বার্তা দিতে সচেতনতা প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মৃতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের তরফে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিনই দেহগুলি ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন নজরুল শেখ (৩২), কৃষ্ণ চৌধুরী (৬৫), দেবশ্রী মণ্ডল (২৭), রবিজান বিবি (৫৪), উম্মে কুলসুম (৬), ইশা সরকার (৮) ও সুমিত মণ্ডল (১০)। এঁদের মধ্যে, চার জন কালিয়াচক ২ ব্লক এবং বাকিরা পুরাতন মালদহ, বৈষ্ণবনগর এবং কালিয়াচক ১ ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন। কৃষ্ণ, নজরুল, রবিজান, দেবশ্রী বাগানে আম পাড়ার কাজ করছিলেন। এ দিনের ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই আম বাগানে ছিলেন, দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। তাঁদের দাবি, এখন বাগানে বাগানে আম পাড়ার কাজ চলছে। সে কাজে মহিলা, পুরুষদের সঙ্গে ছোটরাও থাকছে।
টানা গরমে জেরবার হয়ে পড়েছিলেন জেলাবাসী। এ দিন দুপুরে দমকা হাওয়ার সঙ্গে জেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। একাধিক এলাকায় বাজ পড়ে। বাঙিটোলা হাই স্কুল লাগোয়া এলাকাতেও বাজ পড়ে। ঘটনায় স্কুলের একাধিক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মালদহের বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত বলেন, “ছেলে-মেয়েরা এখন সুস্থ রয়েছে। তবুও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সচেতনতামূলক প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, “ঝড়-বৃষ্টির সময় মানুষকে নিরাপদে স্থানে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকে প্রচার করা হয়। এ বার আরও বেশি করে প্রচার করা হবে।”