—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন বিহারের সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক। সাত দিন ছুটিও মঞ্জুর হয়ে যায় তাঁর। ছুটি কাটিয়ে স্কুলে ফিরতেই ভুল বুঝতে পারলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে পুরুষকে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হল? স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ভুল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। সরকারি পোর্টালে ওই শিক্ষকের ছুটির আবেদন মঞ্জুরের স্ক্রিনশট ভাইরাল করেছেন অন্যান্য শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে দিন সাতেকের জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন বিহারের বৈশালীর এক স্কুলশিক্ষক। কিন্তু পুরুষ হয়ে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য সরকার নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়ে যায় এবং ছুটিতে চলে যান ওই শিক্ষক। তিনি আবার কাজে ফেরার পরে ভুল ধরতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। সেটাও আবার অন্য শিক্ষকদের সৌজন্যে। কী ভাবে পুরুষ হয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েক জন শিক্ষক ওই আবেদন মঞ্জুরের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেটা চোখে পড়তেই শুরু হয় খোঁজখবর। অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈশালী জেলার মহুয়া ব্লকের শিক্ষা অধিকর্তা অর্চনা কুমারী বলেন, ‘‘ছুটির আবেদনপত্রে ভুল ‘এন্ট্রি’র ফলে এই গোলযোগ হয়েছে। এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কোনও ব্যক্তি এই ঘটনায় অভিযুক্ত নন।’’ তিনি জানান, মাতৃত্বকালীন ছুটি শিক্ষিকার জন্য। সদ্যোজাতের দেখাশোনার জন্য ‘পিতৃত্ব অবকাশ’ বা পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে বিহারে। কিন্তু কোনও একটি ভুলে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছেন এক শিক্ষক।
অর্চনা জানান, কী ভাবে এই ভুল হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাঁর সংযোজন, ‘‘কয়েক জন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন তাঁদের ‘আর্নড লিভ’ কেটে নেওয়া হয়েছে। পুরোটাই একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সুরু হচ্ছে।’’